ঐতিহ্যবাহী ঢাকাস্থ আজিমপুর দায়রা শরীফের শ্রদ্ধেয় পীর মানবতাবাদী, এতিম-দরদী,দানবীর, সমাজ সংস্কারক, তৎকালীন জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃত ও পুরস্কার প্রাপ্ত দায়েমী কমপ্লেক্স এর মান্যবর চেয়ারম্যান, বহু ,স্কুল ,কলেজ মাদ্রাসা,মসজিদ ,খানকাহ,মকতব, ঈদগাহ, লঙ্গর খানা সহ বহু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ,আজিমপুর দায়রা শরীফের ৬ষ্ঠ গদীনশীন পীর শাহসুফি ছৈয়দ দায়েম উল্লাহ (রঃ) ১৯৭৯ সনে সাতবাড়ীয়ার মধ্যস্থ নগরপাড়া গ্রামে প্রথমে মহাসাধক হযরত শাহ আমানত (রঃ)এরঁ নাম বিজরিত শিশু সদন ‘‘এতিমখানা ’’ প্রতিষ্টা করেন। সমাজ কল্যান মন্ত্রণালয় কর্তৃক এতিমখানার রেজিং নং ৭৮৬ (বিছমিল্লাহ শরীফ) হওয়াতে হুজুর কেবলা অত্যন্ত আনন্দিত হয়ে অত্র এলাকার জাফরাবাদ, পলিয়াপাড়া ,নগরপাড়া ,ছলিয়ার পাড়ার হুজুরের ভক্ত -অনুরক্ত ও তৎকালীন সময়ের শিক্ষানুরাগী নিবেদিত শান্তিকামী মুরুব্বিদেরকে নিয়ে ১৯৮৪ সালে অত্র সাতবাডীয়া শাহ্ আমানত (র:) দাখীল মাদ্রাসাটি সূচনা করেন। ১৯৯৫ সালে দাখিল পাবলিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে সন্তোষজনক ফলাফল হওয়াতে একই বছর এমপিও ভুক্ত হয়।বর্তমানে দক্ষ ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক পরিচালিত ও দায়েমিয়া ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শাহ ছুফি ছৈয়দ ফয়েজী মোহাম্মদী আহমদ উল্লাহ মা:জি:আ: এর নেতৃত্বে পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠান তিনবার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান,শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান ,শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক ,শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী ,শ্রেষ্ঠ স্কাউট ,কেরাত, নাত,গজল ,কবিতা ,রচনা প্রতিযোগিতায় উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্বের ধারা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছে মাশাআল্লাহ।বর্তমানে মাদ্রাসার পুরাতন ভবন ,সরকার কর্র্তৃক নতুন ভবন, ময়দান, ঈদগাহ ও জানাজার নামাজের মনোরম পরিবেশ এবং মাদ্রাসার পশ্চিমে বড়পুকুর, চতুর্দিকে সবুজ বেষ্ঠনিসহ নিবিড় পাকা ঘাট রয়েছে । মাদ্রাসার দক্ষিণে ও পূর্র্ব দিকে বিশাল পাকা বাউন্ডারীসহ শাহী গেইট , দুইটি গভীর নলকুপ ,পাকা শৌচাগার , উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ,পার্শ্ববর্তী রাস্তা পূর্র্ব দিকে দোহাজারী মহাসড়কে সংযুক্ত এবং পশ্চিম দিকে আনোয়ারা হয়ে চট্টগ্রাম শহরের সাথে যুক্ত যাহা অত্র এলাকার স্বনাম ধন্য প্রতিষ্ঠান হিসাবে সুপরিচিতি লাভ করতে সক্ষম হয়েছে।দক্ষ পরিচালনা কমিটি ও অভীজ্ঞ শিক্ষক শিক্ষিকা দ্বারা মাদ্রাসার দৈনন্দিন পাঠদান সকাল ১০টায় সমাবেশ ,মাদ্রাসায় নির্ধারিত পোষাক ছাত্ররা সাদা পান্জাবী ও পায়জামা , ছাত্রীরা কালো বোরকা ও হেজাব পরিহিত প্রায় হাজারের অধিক ছাত্রছাত্রী মনোরম পরিবেশে সুপার মহোদয়ের নেতেৃত্বে প্রথমে কুরআন তেলোওয়াত , ছালাতুচ্ছালাম , জাতীয় সংগীত ও শপত বাক্য পাঠশেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে মুনাজাতের মধ্য দিয়ে শুরু করে বিকাল চারটায় কর্মদিবস সমাপ্ত করেন। উল্লেখ্য যে,চলতি বছর ২০২২ সালেও চন্দনাইশ উপজেলা প্রশাসন সাতবাড়ীয়া শাহ আমানত (রঃ) দাখিল মাদ্রাসাকে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসাবে ঘোষনা করে।আমাদের শ্রেষ্ঠত্বের দ্বারা অব্যাহত রাখতে শিক্ষা মন্ত্রাণালয় নগদ এক লক্ষ টাকা পুরষ্কার প্রদান করেন। ইবতেদায়ী ,জেডিসি ,দাখিল পাবলিক পরীক্ষায় প্রসংশিত ফলাফল এই প্রতিষ্ঠানের সুনাম অক্ষুন্ন রেখেছে। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে ফরিয়াদ, এই দ্বীনি প্রতিষ্ঠান কে ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাময় প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে তুলতে পারি। আমিন!